কক্সবাজারের চিকিৎসক-মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা ও ইফতার মাহফিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত ও অধ্যরত কক্সবাজার জেলার চিকিৎসক এবং মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রায় ৩৫০ জন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

রোববার (২ জুন) কক্সবাজার শহরের কলাতলীর লাবণী পয়েন্টের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে এই মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

মিলন মেলার আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল। তিনি সরাসরি উপস্থিত হতে না পারায় টেলিকনফারেন্সের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

কক্সবাজার সরকারী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাহিদুল মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সম্মানীত হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মহিউদ্দিন, বিএমএ কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি ডা. পু চ নু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. সাইফুদ্দিন ফরায়েজী, সহসভাপতি ডা, রফিকুল হাসান ও ডা. বিধান পাল, চিকিৎসক নেতা ডা. সুনয়ন বড়–য়া, ডা. মায়েনু, ডা. ইফতেখার উদ্দিন কুতুবী, বিএমএ কক্সবাজারের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মারুফুর রহমান, সদস্য জামশেদুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মিলন মেলার প্রধান সমন্বয়ক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউরো সার্জন ডা. শামসুল ইসলাম খান।

আয়োজকরা জানান, দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত চিকিৎসক ও বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে অধ্যরত মেডিকেল শিক্ষার্থীদের নিয়ে চার বছর আগে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরী করা হয়। নিজেদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা এবং একজন আরেক জনের পাশে দাঁড়িয়ে সম্মিলিতভাবে দেশের চিকিৎসাখাতে অবদান রাখা ও নিজেদের পেশাগত মানোন্নয়নের জন্য কাজ করে এই প্ল্যাটফর্ম। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও মিলন মেলা ও ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, কক্সবাজার জেলার চিকিৎসকদের ইউনিটি দেখে আমি অভিভূত। দেশের চিকিৎসার মান আরও বৃদ্ধি করার জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন চিকিৎসকদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা। এই ঐক্যবদ্ধতা দেখে আমি বিশ্বাস রাখতে পারি আমার জেলার চিকিৎসকরা দেশের চিকিৎসা খাতে পরিবর্তন আনবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, একটি জেলার সকল চিকিৎসকদের নিয়ে এই ধরণের অর্গানাইজেশন দেশের কোথাও নেই। এটি আরও শক্তিশালী করতে হবে। যারা পড়াশোনা শেষ করে চিকিৎসা পেশায় আসবে তাদেরকে সঠিক পথ দেখানোর এই ধরণের সংগঠনের বিকল্প নেই। ভবিষ্যতে যেকোন প্রয়োজনে সংগঠনের পাশে থাকার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন তিনি।

কক্সবাজারের সন্তান এমআরসিপি ডিগ্রিধারী ডা. ওসমান গণি বলেন, লন্ডন থেকে এমআরসিপি ডিগ্রি নেওয়ার ব্যাপারে যা যা সহাযোগিতা করতে হয় করা হবে। একই সাথে এই সংগঠনের মাধ্যমে গরিব ও মেধাবীদের স্কলারশীপ পাওয়ার জন্য সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।